দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রথমে জানা যায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় আর পরে দেখা যায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। এতে সারা দেশে জুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। মানহানির মামলায় জামিন পেয়ে বের হবার পর কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক হামলার ঘটনাটি আদালতের নজরে আনলে প্রধান বিচারপতি তাঁদের এ আশ্বাস দেন।
গত ২২ জুলাই মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কুষ্টিয়ার আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হয়েছেন মাহমুদুর রহমান। বিষয়টি আদালতের নজরে এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ বিষয়ে দেখবো বলে প্রধান বিচারপতি তাদের আশ্বস্ত করেন। পরে এ ঘটনায় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন তারা আদালতে উপাস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতি। আমরা এটা গতকাল পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অপেক্ষা করেছি দেখি আদালত কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম আজ পর্যন্ত এ ঘটনার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এজন্য সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে হাজির হয়েছি পত্রিকা নিয়ে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, এই আদালত সংবিধানের অভিভাবক। সব আদালতের অভিভাবক। জনগনের অভিভাবক। মানুষ আদালতে যায় এবং সেই আদালত যদি জনগনের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না।
মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে আমরা কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা দেখিয়েছি। পত্রিকা দিয়েছি। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগ আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। শুনে তারা বলেছেন বিষয়টি তারা দেখবেন।
আপনারাতো এটা নিয়ে মামলা করতে পারতেন কিংবা হাইকোর্টে রিট দায়ের করতে পারতেন, সরাসরি আপিলে কেন গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এটা কোর্ট আঙ্গিনার ঘটনা। কোর্ট আঙ্গিনায় প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীর নিরাপত্তা দেওয়া প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব। এ ঘটনায় ওই কোর্ট থেকে মামলা করবে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আমরা আশা করি ওইখানকার কোর্ট অফিসার মামলা করবে। তারা মামলা করলে সেটা সিরিয়াস মামলা হবে।
‘এ কারনে আমরা ব্যক্তিগতভাবে মামলা করিনি। আদালতের অভিভাবক হিসেবে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সকল আদালতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। এজন্যই আমরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।’